১. জাতীয়
ফল কাঁঠাল
[সংকেত: ভূমিকা, প্রাপ্তিস্থান, কাঁঠালের বর্ণনা, ফলনের সময়, চাষের নিয়ম, উপকারিতা, অপকারিতা ও উপসংহার।]
ভূমিকা: ফুলের দেশ, ফলের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এখানে বিভিন্ন ঋতুতে অসংখ্য ফলের সমারোহ দেখা যায়। এই অসংখ্য ফলের মধ্যে কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল।
প্রাপ্তিস্থান: কাঁঠাল বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার আদিম ফল। বাংলাদেশের ঢাকা,গাজীপুর, সিলেট, রংপুর, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল পাওয়া যায়।
কাঁঠালের বর্ণনা: কাঁঠালের সারা গায়ে ছোট ছোট কাঁটা থাকে। কাঁঠাল ছোট-বড় নানা আকৃতির হয়। দেখতে কিছুটা গোলাকার, আবার লম্বাটে আকৃতির কাঁঠালও দেখা যায়।
ফলনের সময়: কাঁঠাল উঁচু জমির ফল। যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না, সেখানে কাঁঠাল গাছ
ভালো জন্মে। ফাল্গুন মাসে কাঁঠালের গাছে অঙ্কুর দেখা দেয় এবং ক্রমে তা বড় হয়ে পূর্ণ কাঁঠালে
রূপ নেয়। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে কাঁঠাল পাকতে শুরু করে।
চাষের নিয়ম: উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু কাঁঠাল চাষের জন্য উপযোগী। এঁটেল-দোআঁশ মাটি
কাঁঠাল চাষের জন্য ভালো। কাঁঠালের বিচি কোষসুদ্ধ বা কোষ ছাড়া দুভাবেই রোপণ
করা যায়।
উপকারিতা: কাঁঠাল স্বাদে-গন্ধে একটি অনন্য ফল। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খাওয়া যায়। কাঁঠাল এমন একটি ফল, যার বিচিও নানাভাবে খাওয়া যায়।
অপকারিতা: কাঁঠাল মুখরোচক হলেও এটি গুরুপাক খাদ্য। কাঁঠাল সহজে হজম হয় না। কাঁঠালই সবচেয়ে আমিষ সমৃদ্ধ ফল।
উপসংহার: কাঁঠাল বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। শরীরে প্রচুর পুষ্টি জোগায় কাঁঠাল। গুণে-মানে অনন্য বলে এটি আমাদের জাতীয় ফল।
২. হযরত আবু বকর (রা)
[সংকেত : নাম ও পরিচয় - চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য - ইসলাম গ্রহন - নবী সা. এর সহচর - কোরান সংকলন - বিদ্রোহ দমন - ইন্তেকাল ]
নাম ও পরিচয়: হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ৫৭২ খ্রীস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল আবু কোহাফা এবং তাঁর মায়ের নাম ছিল উম্মুল খাইর সালমা। তাঁর প্রকৃত নাম আব্দুল্লাহ।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট: হযরত আবু বকর (রাঃ) ছিলেন সম্মানিত কুরাইশ ব্যক্তিবর্গের অন্যতম। জ্ঞান, মেধা, অভিজ্ঞতা, বুদ্ধি, বিচক্ষনতা ও সচ্চরিত্রতার জন্য আপামর মক্কাবাসীর শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
ইসলাম গ্রহণ: রাসুল (সাঃ) এর নবুওয়াত লাভের পর যখন মক্কায় হৈ চৈ পড়ে গেল। মক্কার প্রভাবশালী ধনী নেতৃবৃন্দ তাঁর বিরোধিতায় কোমর বেঁধে লেগে যায়। ঠিক এই অবস্থায় মক্কার ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।
নবী সা. এর সহচর: তিনি মহানবী (সাঃ) এর একজন ঘনিষ্ট সাহাবী ছিলেন। তিনি মহানবী (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদীনা হিজরতের সময় তাঁর সহযাত্রী ছিলেন। তিনিই হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর একমাত্র সাহাবী, যিনি তাঁর সাথে সেই সফরে ‘সাওর’ গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
কোরান সংকলন: তাঁর খিলাফতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের একটি হলো পবিত্র কুরআনকে একস্থানে সংগৃহিত করা।তাঁরই শাসনামলে পবিত্র কোরানকে সংকলিত করা হয়।
বিদ্রোহ দমন: তাঁর শাসনামলে বিভিন্ন দিকের বিদ্রোহ দমন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তিনি নিজ হাতে রোমান ও অন্যান্য বিদ্রোহীদের দমন করেন।
ইন্তেকাল: হযরত আবু বকর (রাঃ) পক্ষকাল অসুস্থ্য থাকার পর ৬৩৪ খ্রীস্টাব্দের ২৩ অগাস্ট পরলোকগমন করেন।
৩. আমাদের গ্রাম
[ ভূমিকা, পরিচয়, সৌন্দর্য, অধিবাসী, অবকাঠামো, উপসংহার ]
ভূমিকা : আমি গ্রামে বাস করি। জন্মের পর থেকেই গ্রামরে সাথে আমার মধুর সম্পর্ক। গ্রামের মানুষেরা আমাকে অনেক আদর ও স্নেহ করে।
পরিচয় : আমাদের গ্রামের নাম ফুলতলা। ছায়া সুনিবিড় ছোট্ট এই গ্রামটি অনেক সুন্দর।
অবস্থান : আমাদের গ্রামটি মুন্সিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধলেশ^রী নদী। অন্য পাশে ঢাকা - মাওয়া মহাসড়ক।
সৌন্দর্য: আমাদের গ্রামটি দেখতে ছবির মত সুন্দর। আম, জাম, কাঁঠাল, বট, পাকুড় গাছ আর বাঁশঝাড়ের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা গ্রামের ঘরগুলো। আর গাছে জারুল, কনকচাঁপা, কদম, শিউলি, ছাতিম, বকুল, শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ইত্যাদি ফলের গাছ। প্রতিটি মৌসুমে নানা রকম ফুলে রঙিন হয়ে থাকে আমাদের গ্রাম।
অধিবাসী: আমাদের গ্রামে প্রায় দুই হাজার লোকের বাস। এখানে আছে নানা পেশার, নানা ধর্মের মানুষ। কেউ কৃষি কাজ করেন, কেউ ব্যবসা, কেউ চাকরী। ঈদে, পুজোয়, বড় দিনে আর নববর্ষের উৎসবে মেতে ওঠে ফুলতলা গ্রামের লোকজন।
অবকাঠামো: আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চবিদ্যালয়, একটি লাইব্রেরি, একটি খেলার মাঠ, একটি বাজার, দুটি মসজিদ একটি মন্দির ও একটি গির্জা আছে। গ্রামের মাঠে ফলে প্রচুর ধান, পাট, গম, মসুর, সরিষা, আখ ইত্যাদি।
উপসংহার : আমাদের গ্রাম আমাদের কাছে মায়ের মতো। আমরা মিলেমিশে আমাদের গ্রামে বসবাস করি। এই গ্রামে জন্মগ্রহন করে আমি গর্বিত।
৪. আমাদের বিদ্যালয়
[ ভুমিকা, বিদ্যালয়ের পরিচয়, অবস্থান, বর্ণনা, পড়াশুনা, বিদ্যালয়ের ফলাফল ও সুনাম, উপসংহার ]
ভূমিকা : শিক্ষা গ্রহনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে বিদ্যালয়। আমিও আমার শিক্ষা জীবন শুরু করেছি বিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে।
বিদ্যালয়ের পরিচয় : আমার বিদ্যালয়ের নাম লাল সবুজের পাঠশালা। শিশু শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি আমি। বিদ্যালয়টি খুবই বয়স্ক। বর্তদেমানে দেশের বহু জ্ঞানী, গুনি ও রাষ্ট্রপ্রাধানরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।
অবস্থান : আমাদের বিদ্যালয়টি আমাদের গ্রামে অবস্থিত। বাড়ি থেকৈ খানিকটা হেঁটে গেলেই চোখে পড়ে জোড়াদিঘি নামক দুটো বড় বড় পুকুর। তারই এক পাড়ে আমাদের বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
বর্ণনা : আমাদের বিদ্যালয়টি দেখতে অনেক সুন্দর। সারি সারি শিমুল গাছের ছায়ায় ঘেরা একটি দোতলা ভবন। নিচ তলায় শিক্ষকদের কক্ষ, অফিস কক্ষ, বিজ্ঞানাগার ও পাঠাগার আছে। দোতলায় সবগুলো শ্রেণি কক্ষ। বিদ্যালয়টির সামনে একটি বড় খেলার মাঠ এবং দুদিকে দুটি ছোট বাগান আছে।
পড়াশোনা : আমাদের বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। প্রায় ৩০০ জন ছাত্র ছাত্রী ও ১২ জন শিক্ষক আছেন এ বিদ্যালয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের খুবই ভালোবাসেন এবং আনন্দের সাথে পাঠদান করেন।
বিদ্যালয়ের ফলাফল ও সুনামা : প্রতি বছর প্রত্যেক শ্রেণির সবাই ভালো ফল করে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া আমাদের বিদ্যালয় থেকে প্রতি বছরই অনেকে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি অর্জন করে। এজন্য চারদিকে আমাদের বিদ্যালয়ের সুনাম রয়েছে।
উপসংহার : আমরা আমাদের বিদ্যালয়কে ভালোবাসি। এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আমি গর্বিত।